শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য তীর্থভ‚মি। এখানে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে আসছে যুগের পর যুগ। কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সবসময় সাম্প্রদায়িক ফ্যাসাদ তৈরীতে ব্যস্ত থেকে জাতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহে ব্যস্ত ছিলো। দেশের মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে বলেই আজ তারা দেশছাড়া। সীতাকুন্ড তথা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় জোরদার ছিলো এবং আগামীতেও থাকবে বলে দাবি করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সীতাকুন্ডের শঙ্করমঠ ও মিশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় আসলাম চৌধুরী বলেন, সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় একটি জাতীয় তীর্থস্থান। প্রতিবছর লাখ লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানে দর্শন করেন। দেশ-বিদেশে এই সীতাকুন্ডের আলাদা পরিচিতি আছে। ভবিষ্যতে আমরা এখানে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করব। নতুনভাবে সাজিয়ে তুলব চন্দ্রনাথ ধামকে। এখানে কোটি মানুষের মিলন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।
এসময় তিনি সিড়ি বেয়ে শঙ্করমঠ ও মিশনে আরোহণ করেন এবং মঠের ভেতরে মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমত স্বামী তপনানন্দ গীরি মহারাজ, শ্রমতি ভক্তিদি ও অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করেন। পরে তিনি শঙ্কর মঠ ও মিশনের পাশে পাহাড় ধ্বসে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত’ হওয়ার স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ইউছুফ নিজামী, শামসুল আলম আজাদ, পৌর বিএনপির আহব্বায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব সালেহ আহম্মেদ ছলু, বিএনপি নেতা আবুল মনসুর, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক অমলেন্দু কনক, পৌর স্বে”ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মামুন চৌধুরী, সাবেক পৌর ছাত্রদল নেতা মহিন উদ্দিন মহিন, সহ-উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বে”ছাসেবক, কৃষক দল, মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ ।