যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ইসরায়েলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মঙ্গলবার রাতের (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) বিতর্কে এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্পকে গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কীভাবে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন ও হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক নাগরিকদের ফিরিয়ে আনবেন।
ট্রাম্প এ প্রশ্নের জবাবে দাবি করেন, তিনি যদি এখনও দেশটির প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে গাজায় যুদ্ধ শুরুই হতো না।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি (কমলা হ্যারিস) ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে না। একই সঙ্গে তিনি আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
কমলা ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বাস্তবতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি যে স্বৈশাসকদের প্রশংসা করেন তা খুবই জানা বিষয়। প্রথমদিন থেকেই তিনি একজন স্বৈরশাসক হতে চান।’
গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়ে কমলা তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন,‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে তারা আত্মরক্ষা কীভাবে করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটাও সত্য যে অনেক নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু ও মায়েরাও আছেন। এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময়ই ইসরায়েলকে তার আত্মরক্ষা করার ক্ষমতা দিব। বিশেষ করে, ইরান ও তার প্রক্সিদেশগুলোর দ্বারা ইসরায়েরের জন্য যেকোনো ধরনের হুমকি সম্পর্কি হলে আমরা ইসরায়েলকে তার আত্মরক্ষায় সমর্থন দিব।’
বাইডেন প্রশাসন ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগও করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি তার দাবির পক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেননি।