চট্টগ্রাম কাস্টমসের মোয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট হওয়া মালামাল মাটি খুঁড়ে বের করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ সময় তাদের আরও এক সঙ্গী পালিয়ে গেছে। পরে তাদের কাছ থেকে ৬০ বস্তা মালামালসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। এছাড়া পণ্য বিক্রির ২ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলো- নজরুল ইসলাম লিটন (২৬), সুজন কান্তি দে (৩৫), গিয়াস উদ্দিন (৩৪), মো. ইউসুফ (৩৫) ও আশরাফুল ইসলাম রনি (৩০)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা বলেন, গোপন তথ্যে জানতে পারি, কিছু লোক আবর্জনার স্তূপের মাটি খুঁড়ে কিছু মালামাল ট্রাকে তুলছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বন্দর থানার আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ড থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের আরও এক সঙ্গী পালিয়ে যায়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে পণ্য বোঝাই ৬০টি বস্তাসহ একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়, যা ছয় মাস আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মাটিতে পুঁতে ফেলেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গত বছরের সেপ্টম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও আমদানি নিষদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, ফিশ ফিড, ফ্রোজেন ফিড ধ্বংস করে আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে পুঁতে ফেলে। সকালে চক্রের সদস্যরা মাটি খুঁড়ে মালামাল বের করে সীতাকুণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাকে তুলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এই চক্রটি গত বছরের নভেম্বরেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল।’
ওসি আরও বলেন, যেখানে এসব পণ্য পুঁতে ফেলা হয়েছিল সে ভূমিটির মালিক আব্দুল মান্নান। তিনি মূলত এই চক্রটির হোতা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে পণ্যগুলো সেখানে পুঁতে ফেলেছিল। যেহেতু ভূমির মালিক তিনি, তাই তার সময়মতো তিনি এসব পণ্য তুলে সীতাকুণ্ডে নিয়ে যেতেন। যেখান থেকে সেসব পণ্য বাজারজাত করা হতো। এর আগেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পুঁতে ফেলা মালামাল চুরির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সোমবারও তার লোকজন পচা মালামালগুলো ট্রাক ভর্তি করছিল সীতাকুণ্ডে নিয়ে যাবার জন্য।