সিটি নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসবে: কাদের

আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি না এলেও ঘোমটা পরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

পাঁচ সিটি নির্বাচন বিএনপির জন্য সরকারের ফাঁদ এবং এতে বিএনপি পা দেবে না বলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি না এলেও ঘোমটা পরে আসবে। এটা তাদের রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি।’

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ৩০টি সিট জুটবে কি না, সেটা ভেবে বিএনপি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্বে একটা মহল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত দিবসগুলোকে অস্বীকার করে। তারা কখনো পালন করে না, উপেক্ষা করে। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল একটি। এদিন দেখবেন বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। ৭ই মার্চ তারা পালন করে না। স্বাধীনতার পথে স্বাধিকার আন্দোলনে ৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ। এদিনও তারা পালন করে না। এরা নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী!’

দেখবেন তাদের বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু নেই। তাদের অনুষ্ঠানমালায় বঙ্গবন্ধু নেই। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার মহানায়ক নেই।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়েছিল, সেই ধারা বিএনপি এখনো অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি এমনটা করেছে, এখনো তারা সেই ভাবধারা বহন করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় তারা বিশ্বাস করে না।’

কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক মাত্র। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।স্বাধীনতার ঘোষণা অনেকেই পাঠ করেছেন। স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। সত্তরের নির্বাচনে জনগণ তাঁকে সেই ম্যান্ডেট দিয়েছিল।’

‘সুদীর্ঘ ও সুবিশাল ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামের। একটা বাঁশির ফুতে হয়নি। সেখানে বীরের বীরত্ব আছে, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রও আছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের ফুটনোট হতে পারে, তাকে নায়ক-মহানায়ক বানানো বিএনপির উদ্ভট কল্পনা, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই’, যোগ করেন কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেক কিন্তু তারা বলছে, আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে যারা স্বাধীনতার আদর্শবিরোধী, চেতনাবিরোধী—এই অপশক্তি বাংলাদেশে বিস্তার করছে। এই বিষবৃক্ষ উৎপাটন পর্যন্ত আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপির নেতৃত্বের অপরাজনীতিকে পরাজিত করতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।