চট্টগ্রাম নগরীতে শিশু আয়াত, সুরমা, মারজানা হক বর্ষা ও আবিদা সুলতানা আয়নী হত্যার রেশ না কাটতেই আবারও নৃসংশভাবে আরেক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এবার নগরের চান্দগাঁও থানার গোলাপের দোকান এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় বালি ও ইট দিয়ে চাপা অবস্থায় শিশু শফিউল ইসলাম রহিমের (১১) মৃতদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে গাছ দিয়ে পিটিয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শফিউল ইসলাম রহিম পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে চান্দগাঁও থানার চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ীর মো. সেলিম উদ্দিনের সন্তান।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন- চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই সড়কর চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ী মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) ও পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮)।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শিশু রহিম নিখোঁজ ছিল। রহিমের পিতা সেলিম উদ্দিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আমরা তদন্তে করতে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আযম খানের সাথে শিশুকে দেখি। গত বুধবার রাতে আযম খানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে।
ওসি খায়রুল বলেন, শিশুটিকে খেলনা কিনে দেওয়ার কথা বলে আযম নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাকে আটকিয়ে পিতার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবী করে। কিন্তু পুলিশি তৎপরতা দেখে ভয়ে আযম খান তার সহযোগী মো. মজিব দৌলা হৃদয়কে নিয়ে শিশু রহিমকে খুন করে মাটি চাপা দেয়।
চান্দগাঁও থানার ডিউটি অফিসার জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।