ব্যালান্স ডায়েট, রাতে সময় মেনে খাবার খাওয়া, জাঙ্ক ফুড থেকে বিরত থাকা, এক্সারসাইজ় সব কিছুই চলছে নিয়ম মেনে। অথচ শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ যে বড্ড জেদি। সহজে যেতে চায় না। ওজন মেশিনের কাটাও নামছে না শত চেষ্টার পরও। সব টুকুই তো করলেন কিন্তু জল খাচ্ছেন কি? গবেষণা বলছে জল থেকে কেবল মিনারেলস পাওয়া যায় না, কমতে পারে ওজনও। কেমন করে? রইল তার খোঁজ—
জল পানের পরিমাণ
প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করুন। বোতলের পরিবর্তে গ্লাস ব্যবহার করলে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। প্রতিদিন কতটা জল পান করা হল তার একটা হিসেব রাখা যায়। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য একদিনে তিন লিটার জলের প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্তত ২ লিটার জল সরাসরি ভাবে পান করা উচিত। বাকি ১ লিটার ডালের জল, ডাব, লস্যি প্রভৃতি তরল স্বাস্থকর পানীয়ের মাধ্যমে কনজ়িউম করুন।
খাওয়ার সঠিক সময়:
কোনও ভারী খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে পেট অনেকটা ভর্তি হয়ে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত খাবারের ইচ্ছা কমে যায়। এছাড়া রাতে অনেক ক্ষণ জল খাওয়া হয় না। ফলে ঘুম থেকে উঠে শরীরের জলে প্রয়োজন হয়। তাই খালি পেটে প্রথমেই এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে শরীরে জমে থাকা টক্সিক দূর হয়।
মেদ ঝরুক জলে:
প্রথমেই বলা হয়েছে দুই লিটার জল সারাসরি পান করা জরুরি। বাকি ১ লিটার জল এমন ভাবে পান করতে পারেন যাতে খুব দ্রুত জেদি মেদ শরীর থেকে ঝরে যেতে পারে। গরম জলে একটা লেবুর রস ও এক চা-চামচ মধু দিন। খালি পেটে এই পানীয়টি খেয়ে ফেলুন। অথবা রাতে জলে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ধরে ভেজানো মৌরির জল সকালে উঠে খেয়ে নিন। যা ফ্যাট বার্নার ড্রিঙ্ক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়াও গরমে বাড়িতে বেরোনোর সময় ছাতা ও রোদচশমার সঙ্গে জলের বোতলও হয়ে উঠুক অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। গরমে হঠাৎ অসুস্থ বোধ হওয়া থেকে হিট স্ট্রোক সবে থেকেই উদ্ধার করার জন্য এই ছোট্ট এক বোতল জলের বিকল্প নেই।
তাহলে বুঝলেন তো সামান্য জল কতটা উপকারী? তাহলে নিয়ম মেনে ডায়েট, এক্সারসাইজ় সবই থাকুক আর থাকুক প্রযাপ্ত জল পান। তাহলেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত সুস্থ শরীর।