দেশের মানুষ পাতানো নির্বাচনে আর পা দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি আবারো উল্লেখ করেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না।
সোমবার (২২ মে) রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘লুটপাট করতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু তা আর হবে না। পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না। এই লুটেরাদের ও ভোটচোরদের সরাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল দেশপ্রেমিক দল এক হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে সরকার। ঋণের বোঝা এতটাই বেশি যে আগামীতে তা পূরণ করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এর ফলে গ্রোথ এত নিচে নেমে আসবে যে দেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটা আমার কথা না, এটা দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদদের কথা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নব্য বর্গি, তারা সব লুটপাট করে নিচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকা। তাদেরকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। এদেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রচারণা করে যাচ্ছে। বলতেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু নির্বাচন শুরুই হয়নি অথচ গতকাল রাতে বিএনপি নেতা মজনুকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা শুধুমাত্র উন্নয়নের নামে মিথ্যা কথার মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধ শুরু হলে অবস্থা আরো সংকট তীব্র হবে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এটাই মূলত এই সরকারের উদ্দেশ্য।’
এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ।