দেশের রফতানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২১ সালের জন্য ১৮০ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার (২৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে এই সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করে।
আগামী এক বছরের জন্য এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।
সিআইপিদের মধ্যে সরাসরি রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১৪০ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে ৪ জন, পাটজাত পণ্যে ৪, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৫, হিমায়িত খাদ্যে ৮, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে ৪ জন, কৃষি পণ্যে ৮, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ৩, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ৩, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে ৪ এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে ৩ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে হোম টেক্সটাইলে ৩ জন, নিট পোশাকে (একক) ২৫, নিট পোশাকে (গ্রুপ) ৭ জন, সিরামিক পণ্যে ২, প্লাস্টিক পণ্যে ১, বস্ত্র খাতে ৭ জন এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৩ জন ও ইপিজেডভুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি হয়েছেন। এর বাইরে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের থেকে ৪০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।
এদিকে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ৪৪ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) বা সিআইপি নির্বাচন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গত সোমবার (২২ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়।