চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাসভবনও। এছাড়া রাতভর টানা বৃষ্টিতে নগরীর লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের পাশে পাহাড় ধসে রাস্তার একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কটির পাশের পাহাড়ের একাংশ ধসে রাস্তায় একটি মাইক্রোবাসের উপরে পড়ে। তাতে মাইক্রোবাসটি ধসে পড়া মাটিতে আটকে যায়, তবে কেউ হতাহত হননি।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ার দ্বিমুখী ওই সড়কের লালখান বাজার থেকে টাইগার পাসগামী অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিপরীতমুখী লেইনে যানবাহন চলাচল করছে।
ব্যস্ততম অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার ফলে যানবাহন ও জন চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পানি প্রবেশ করেছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে দেখা যায় পানিতে ডুবে রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরী। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এত নগরের অধিকাংশ এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানিতে ডুবে যায় নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়া কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত আগের ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীর জিইসি, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, ওয়াসা, খাতুনগঞ্জ, চকবাজার, বহদ্দারহাট আগ্রাবাদসহ নগরীর অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনের নিচতলা হাটু পানিতে ডুবে গেছে। মেয়রের বাড়ির উঠোন, গ্যারেজ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
এদিকে নগরীর আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরের নিচু এলাকার সড়কগুলো হাঁটুপানিতে ডুবে আছে। এসব এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট, বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিচ তলায় পানি ঢুকে পড়েছে।