এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এলো খুশির ঈদ।ঈদুল ফিতর প্রতি ঘরে ঘরে এনেছে খুশির বারতা।
সারাদেশে ঈদগাহ আর মসজিদে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নিয়েছেন সব শ্রেণি, পেশা আর বয়সের কোটি মুসুল্লি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত হয়। সেখানে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের শান্তি কামনার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া হয়।
কোভিড মহামারির কারণে গত তিন বছর ঈদ জামাতেও ছিল করোনা নিয়ে বিধির কড়াকড়ি। ঈদ জামাতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল। কোলাকুলিতেও ছিল মানা।
এবার ঈদ জামাত ফিরেছে পুরনো মেজাজে। নামাজ শেষে কোলাকুলি আর মোসাফাহা করেন সবাই।
ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত তিন বছর বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ সেরেছেন। অবসরে যাওয়ার আগে শেষ ঈদের নামাজটি তিনি জাতীয় ঈদগাহেই পড়েছেন।
রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শামিল ছিলেন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে। এবার একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম শেষে ঈদের আগের দিন শুক্রবার বিকেলে দমকা বাতাস ও এক পশলা বৃষ্টিতে তপ্ত রাজধানী পেয়েছে শীতল পরশ।