সালেহ আহমেদ দিলন। ২০২১সালের ২৬ মে মাত্র ৪৫ বছরের দুনিয়ার জীবনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে অনন্ত জীবনের পথে পাড়ি জমান। দুনিয়ার এই স্বল্প জীবন ছিলো মহিমান্নিত ও আলোকোজ্জ্বল দীপ্তময়। মানবিক গুনাবলীর সমাহারে সমন্নিত জীবনে পরিবার, এলাকাবাসী, বন্ধু- বান্ধব,সহকর্মী আর শুভকাঙ্খিদের নিকট ছিলেন এক অনন্য আলোকিত মানুষ। যে কারো প্রয়োজনে দ্বিধাহীন ভাবে সংকটের সকল ঘুর্ণাবার্তে অতন্দ্র নিশি জাগ্রত থেকে পাশে থাকতেন সুনিবিড় আন্তরিকতায়।
মানুষকে অকৃত্রিম ভাবে ভালোবেসে কাছে টানার সম্মোহনি ক্ষমতাছিলো তাঁর। নিজের সকল দুঃখ কষ্ট কে চেপে রেখে অমলিন হাসি নিয়ে পাশে দাঁড়াতেন অন্যের দুঃখ কষ্ট লাগবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর সম্পর্কের এ যুগে তাঁকে পাওয়া যেত সকল স্বার্থের উর্দ্ধে। যাপিত জীবনের সকল দুঃখ কষ্ট ফায়সালা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে নির্ভার জীবন যাপন করতেন।জীবন যুদ্ধে শত দুঃখ বেদনা পাহাড় অতিক্রম করে তাঁর মুখে দেখা যেত যোদ্ধার হাসি।
পরিবার, আত্মীয় স্বজন, সঙ্গী -সাথী আর বন্ধু বান্ধব দের প্রাতহিক জীবনের অনিবার্য অনুসঙ্গ ছিলেন তিনি। এতটাই প্রাসঙ্গিক ছিলেন তাঁর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তাঁর প্রয়োজঅনিতা দিন দিন আর ও প্রকট হচ্ছে। তিনি চিরকাল সবার নিকট প্রাসঙ্গিক হয়েই থাকবেন। মানবিক গুনাবলীর অকৃত্রিম সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে তাঁর তুলনা কেবল নিজেই ছিলেন। মিস্টি মুখের মায়াবী হাসি দিয়ে যে কারো মনে স্থায়ী জায়গা করে নেয়ার অসাধারণ গুন তাঁকে সঙ্গী সাথী আর পরিচিতজনদের কাছে তাঁর অবস্থান ছিলো বরাবরই উচ্চ মার্গের।
অন্যের বিপদে যখন নানাবিধ অজুহাতে সকলে পাশ কাটাতো তিনি এগিয়ে আসতেন প্রয়োজনে বন্ধুর কন্টাকাকীর্ণ পথ মাড়িয়ে। তাঁর চলে যাওয়র ১বছর পরেই দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নেন তাঁর সম্মানিত পিতা,আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ওনাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদায় সম্মানিত করুন ।
সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই বরেন্য শিক্ষক পিতা বরাবরই গর্বিত ছিলেন তাঁর এই সন্তানের জন্য। সন্তানের অল্প বয়সে চলে যাওয়া কে আল্লাহর ফয়সালা হিসাবে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করে ছিলেন। মমতাময়ী মা প্রিয় সন্তানের বন্ধুদের মাঝে সন্তান কে খুঁজে বেড়ান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কবর কে আলোকিত করুন এবং জান্নাতের সাথে সংযুক্ত রাখুন। দুনিয়ার ভালো কাজের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন। আদালতে আখিরাতে তাঁর প্রিয় বান্দাদের কাতারে অন্তর্ভুক্ত করুন।
জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসাবে সম্মানিত করুন।তাঁর সম্মানিত মা, স্ত্রী -সন্তান, পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন সকল কে রহমতের চাদরে আবৃত রাখুন। পরিবারের পাশে থাকা সকল বন্ধু -বান্ধব, সঙ্গী সাথী, শুভাকাঙ্খীদের দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দিন। আল্লাহ সবাই কে আমাদের চিরস্থায়ী নিবাস জান্নাতে মিলিত করুন। আমরা কেবলই আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের একান্ত মুখেপেক্ষি।
লেখক : মোঃ আমিনুল ইসলাম জসিম, কবি ও সংগঠক।