৩ বিষয়: ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হলে মাথায় রাখতে হবে

 

রোগা হতে চাই বললেই, রোগা হওয়ায় ততটা সহজ নয়। তার জন্য পরিশ্রম করতে হয়ে প্রচুর। জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো— বিস্তর চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। কিংবা যদি কমেও থাকে, তাও যৎসামান্য। ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তখন অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শুধু ডায়েট বা শরীরচর্চা করলেই হবে না। নির্ভুল এবং সঠিক সময়ে এই কাজগুলি করার উপরেও দ্রুত মেদ ঝরানোর মন্ত্র লুকিয়ে থাকে। রোগা হতে গেলে আর কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে?

সকালবেলা গরম জলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া কি ভাল?

১) সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবার

ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই পুষ্টিকর খাবার ঠিক মতো খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবার অনেক ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে। অনেক ক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী, সঠিক সময়ে পরিমাণ মতো খাবার খেলে মেদ ঝরবে।

খাবারে কাঁচা নুন না মাখলে মুখে তুলতে পারেন না, জানেন প্রতি দিন কতটা নুন খাওয়া ভাল?
২) শরীরচর্চা

প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। মেদ কমছে না বা ক্লান্ত লাগছে বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। রোজ এক রকম ভাবে শরীরচর্চা করতে ভাল না লাগলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যায়াম করুন। কখনও হাঁটা, কখনও সাইকেল চালানো আবার সময় বুঝে কখনও জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো— সবই করা যায়।

৩) পর্যাপ্ত ঘুম

ডায়েট এবং শরীরচর্চা করছেন নিয়ম মেনে। অথচ, ঘুমের বেলায় যথেষ্ট অবহেলা করছেন। রাত জেগে সিনেমা দেখছেন, সিরিজ় দেখতে দেখতে প্রায় গোটা রাত কাটিয়ে ফেলছেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু মেদ ঝরানোর বদলে তা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া ঘুমের মধ্যে দিয়ে গোটা শরীর ‘ডিটক্সিফাই’ হয়। শরীর এবং মন—দুই-ই বিশ্রাম পায়। তাই রোগা হতে গেলে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।