নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েষ্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে, তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন।
আজ রোববার (৪ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয় বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সেটি স্পষ্ট করে আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর এ বক্তব্যের কথা জানানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকৃত তথ্য হলো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন, তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে শব্দচয়নে ভুল করায় যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হলো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন অপব্যবহার (মিসইউজ) ও অপপ্রয়োগ (অ্যাবিউজ) হচ্ছিল, তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের অপব্যবহার ও অপ্রয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন। সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি যে এই অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি।’
আনিসুল হক বলেন, তিনি কারিগরি (টেকনিক্যাল) নোট পেয়েছেন। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারো প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভরশীল না। যখন মনে হয়েছে অপব্যবহার হয়েছে, তারা স্বীকার করেছেন এবং সেই অপব্যবহারকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।