সংসারের ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে ফুলঝাড়ুর জুড়ি নেই। গ্রাম কিংবা শহর ঘরদোর পরিষ্কারের কাজে ফুলঝাড়ু না হলে যেন চলে না। তাইতো বছরের এ সময়ে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করে রাখেন গৃহকর্তারা । ১মাস রোদে শুখানো এই ফুলঝাড়ু স্থানীয় হাট-বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে যাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
রাঙ্গুনিয়ার ইছামতী নদীর পাড়ে শীতের শেষ সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই চলে পাহাড়ি ফুলঝাড়ু সংগ্রহ এবং শুকানোর কাজ। এ সময় ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। ইছামতি নদীর বুকে জেগে ওঠা চড়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ফুলঝাড়ু আর শুখানোর কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা।
স্থানীয় মুরাদ নগর এলাকার ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল হোসেন চট্টগ্রাম খবরকে জাসান, আমি দীর্ঘ ১৫ বছরে ধরে ফুলঝাড়ুর ব্যবসা করছি। আমরা মূলত জানুয়ারির শেষের দিকে ফুল ঝাড়ু সংগ্রহের কাজ করি, এটা ফেব্রুয়ারি মাসও চলে। রাজস্থলী, বান্দরবান, বাঙ্গাল হালিয়া,পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ সময়ে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার উপরে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করে থাকি । ফুল ঝাড়ু আগে চাষাবাদ করা না হলেও বর্তমানে ফুলঝাড়ুর চাহিদা বেশি হওয়ায় পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ফুল ঝাড়ু চাষাবাদ করা হচ্ছে। আর এ ঝাড়ু ফুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠছেন এ অঞ্চলের নারী-পুরুষেরা। যার কারনে আমাদের ফুল সংগ্রহ আগের চেয়ে অনেকটা সহজ হয়েছে।
তিনি আরও জানান,পাহাড়ী স্থানীয়দের কাছ থেকে একটি কাঁচা ঝাড়ুর আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতে হয়। ফুলের ২০ থেকে ২৫টি শলাকা দিয়ে তৈরি করা হয় একেকটি ঝাড়ুর আঁটি। তারপর রোদে শুকিয়ে শ্রমিক দিয়ে নতুনভাবে ঝাড়ুর মোছা বানিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের মজুদকৃত ফুলঝাড়ু ৩মাস রাখার পরে মে মাস’র শেষের দিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, মিরপুর ১০ নাম্বার সহ আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলঝাড়ু ক্রয় করতে আসেন। চট্টগ্রামের মধ্যে ফুলঝাড়ুর চাহিদা কম থাকলেও চট্টগ্রামের বাইরে এর চাহিদা ব্যাপক রয়েছে।